পায়রা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য

 সন্দেশ

কবুতর পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন পোষা প্রাণী। ৫ হাজার বছর পূর্বের মেসোপোটেমিয়াম ফলকেও পোষা পায়রার উল্লেখ দেখা যায়। প্রধান ও ঐতিহাসিক পরাশক্তিগুলো যেমন- মিশর থেকে আমেরিকা পর্যন্ত সবাই পায়রা ব্যবহার করেছেন। আজ চলুন জেনে নেই পায়রার কিছু বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যের কথা ।

১। ঘরে ফেরার জন্য পায়রা বিভিন্ন ধরণের দিকনির্দেশনার কৌশল অবলম্বন করে : “ম্যাপ সেন্স” ও “কম্পাস সেন্স”। ম্যাপ সেন্সের ক্ষেত্রে তারা যেখানে বাস করে সেখানকার ভূমির চিহ্ন ও গন্ধ কাজে লাগায়। কম্পাস সেন্সের ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান ও গতিবিধির উপর নির্ভর করে।

২। পায়রা সমঝোতা করতে পারে। এরা ঝাঁক বেঁধে থাকতে পছন্দ করে। পায়রার এই ঝাঁকের নেতৃত্ব দেয় একটি পায়রা এবং অন্যরা তাকে অনুসরণ করে। তাই পায়রার গৃহে প্রত্যাবর্তন সহজ হয়।

৩। পায়রা কখনোই ভুলে না এবং ক্ষমাও করেনা। পায়রা সম্পর্কে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্যটি পাওয়া যায় ২০১১ সালের এক গবেষণা থেকে। আর তা হচ্ছে বন্য পায়রা মানুষের চেহারা চিনতে পারে। তাদের বোকা বানানো খুব কঠিন।

৪। পায়রার তুলনামূলক দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি আছে। বেবুন ও পায়রাকে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পায়রার স্মৃতিশক্তি বেবুনের চেয়ে অনেক বেশি।

৫। কবুতর অংকও করতে পারে।

৬। পায়রা কুসংস্কারপূর্ণ আচরণ করে।

৭। অধুনালুপ্ত বৃহদাকার পাখি ডোডোর জীবন্ত আত্মীয় হচ্ছে পায়রা।

৮। পায়রা বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে যেমন- সবুজ, হলুদ বা লাল বর্ণের হয়।

৯। বাচ্চা পায়রাকে স্কুইকার বলে।

১০। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সহযোগীতা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ২টি পায়রাকে পুরস্কৃত করা হয়।