ডায়নোসর নিয়ে অজানা মজার তথ্য

 সন্দেশ

যুগে যুগে ডায়নোসর এক বিস্ময়ের নাম। মানুষ সৃষ্টিরও মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে তারা। কেমন ছিল দেখতে, কী খেত, তাদের জন্ম কেমন ছিল, কীভাবে বিলুপ্ত হল সব কিছুই এখনো অমীমাংসিত। কল্পনার জগতে ডায়নোসর এখনো যেন মিথ। আসুন জেনে নিই দৈত্যাকার এই প্রানী সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য।

- চীনে ৩৫০০ বছর আগে প্রথম ডায়নোসরের সম্ভাব্য হাড় পাওয়ার রেকর্ড করা হয়। কিন্তু চীনে মানুষের মাঝে তখন ডায়নোসর সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তাই বিশাল হাড়টি যেটি আসলে ছিল ডায়নোসরের দাঁত, চীনারা ভেবেছিল এটি ড্রাগণের!

- ডায়নোসররা পৃথিবীর প্রতিটি এলাকাতেই বাস করত, এমনকি এন্টার্টিকা মাহাদেশেও।

- মাংসাশী সব ডায়নোসরের হাড় ছিল বাতাসে পরিপূর্ণ। যদিও হাড়গুলো ছিল বিশাল, কিন্তু সেগুলো দেখতে যত ভারী মনে হতো ততো আসলে ছিল না। এজন্যই অনেক ডায়নোসর দৈত্যাকৃতি হওয়া স্বত্ত্বেও ছিল দ্রুতগামী। পাখিদেরও একইরকম ফাপা হাড় থাকে তাঁদের শরীরে।

- আর্গেন্টিনোসরাস প্রজাতির ডায়নোসরেরা ছিল বৃক্ষভোজী। কিন্তু আকৃতিতে ছিল এরাই সবচেয়ে বিশাল। ৯৮ ফুটেরও (৩০ মিটার) বেশী লম্বা হত এরা।

- মাংসাশী ডায়নোসররা থেরপড নামে পরিচিত। এর অর্থ 'পিশাচের পা'। কারণ তাঁদের পায়ে ছিল ধারালো শক্ত থাবা। বৃক্ষভোজী ডায়নোসরদের নখ ছিল তুলনামূলকভাবে ভোঁতা।

- কিছু কিছু বৃক্ষভোজী ডায়নোসরদের প্রতিদিন ১ টনের মত খাবার দরকার হত। এটা একটা দ্বীতল বাস সমান সবজির স্তুপ খেয়ে ফেলার মত।

- ডায়নোসরদের বিলুপ্তির কারণ বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাসযোগ্য ধরা হয় মেক্সিকোর ইয়োকাটান উপদ্বীপে একটি বিশাল উল্কাপতনকে। এটি ঘটেছিল ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে। ৬ মাইল ব্যাসার্ধের বিশাল পাথরটি দ্বারা ১১২ মাইল বিস্তৃত একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল । বিশ্বাস করা হয়, সেই বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের পর বেঁচে ছিল মাত্র কয়েক প্রজাতির প্রানী। যেমন- হাঙ্গর, জেলিফিশ, বিচ্ছু, পাখী, পোকামাকড়, সাপ, কচ্ছপ, টিকটিকি আর কুমির।

- পাখী এবং সরীসৃপদের মত ডায়নোসররা বাসা তৈরি করত, ডিম পারত এমনকি কেউ কেউ তাঁদের শিশুদের খাওয়াত এবং আগলে রাখত।

- পাখীদের মলমূত্র ত্যাগ এবং ডিম পারার জন্য শরীরে একটিই পথ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ডায়নোসরদের শারীরিক গঠনও ছিল একই। এজন্যই অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন পাখীরা আসলে ডায়নোসরদের পরিবর্তিত প্রজাতি আর এভাবেই টিকে আছে তাঁরা আজও, বিলুপ্ত হয় নি।

- সব ডায়নোসররাই ডিম পাড়ত। এখন পর্যন্ত ৪০ প্রজাতির ডায়নোসরের ডিম পাওয়া গেছে।

- কিছু কিছু ডায়নোসরের লেজ ছিল ৪৫ ফুট লম্বা। জীবাশ্মবিদদের মতে, এই লম্বা লেজই তাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করত।

- ডায়নোসরদের আয়ু কত বছর ছিল তা এখনো সঠিক জানা যায় না। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, কিছু প্রজাতির ডায়নোসর অন্তত ২০০ বছর বেঁচে থাকত।


7-in-1 Mini Electric Pressure Cooker, Rice Cooker, Steamer, Includes Free App with over 1900 Recipes, Stainless Steel, 3 Quart Electric Pressure Cooker, Rice Cooker, Steamer, Sauté, Includes Free App with over 1900 Recipes, Stainless Steel, 3 Quart

See more on Amazon


সর্বাধিক পঠিত