(১) আল্লাহর সাথে শিরক করা। এটি সবচেয়ে জঘন্যতম কবীরা গুনাহ। |
(২) ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে হত্যা করা বা খুন করা। |
(৩) জাদু-টোনা করা বা এতে লিপ্ত হওয়া। জাদু-টোনায় বিশ্বাস স্থাপন করা। |
(৪) নামাযে অবহেলা করা বা নামাযের ব্যাপারে উদাসীন থাকা। সময় মতো নামায আদায় না করে নামাযের সময় চলে যাওয়ার পর তা আদায় করা। নামায পরিত্যাগ করা। |
(৫) সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও যাকাত আদায় না করা। |
(৬) বিনা ওযরে রমজান মাসের রোজা না রাখা বা পরিত্যাগ করা। |
(৭) সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও হজ্জ না করা। |
(৮) পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া বা তাদেরকে কোনভাবে কষ্ট দেয়া। তাদেরকে কটু কথা বলা, অভিসম্পাত করা। তাদের প্রতি সদয় আচরন না করা। |
(৯) আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা। |
(১০) যিনা ব্যভিচার করা। নিজের স্ত্রী/স্বামী ব্যতীত অন্য কোন নারী/পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করা। |
(১১) সুদ দেয়া বা সুদ নেয়া, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা। |
(১২) এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা। |
(১৩) সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপন করা। |
(১৪) আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) –এর প্রতি মিথ্যাচার করা। |
(১৫) জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা। |
(১৬) শাসক কর্তৃক জনগনকে প্রতারণা করা। জনগনের প্রতি জুলুম করা। |
(১৭) অহংকার করা, দাম্ভিকতা প্রকাশ করা, ঔদ্ধতা দেখানো। |
(১৮) মদ পান করা বা নেশা জাতীয় কিছু খাওয়া বা পান করা। মদ বা নেশা জাতীয় কিছু তৈরীতে সংশ্লিষ্ট হওয়া। |
(১৯) জুয়া-হাউজি ইত্যাদিতে লিপ্ত হওয়া। |
(২০) কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। |
(২১) সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা |
(২২) অন্যের মাল বা সম্পদ চুরি করা। |
(২৩) ডাকাতি, রাহাজানি, অপহরণে লিপ্ত হওয়া। |
(২৪) গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা। |
(২৫) মিথ্যা কথা বলা |
(২৬) মিথ্যা শপথ করা বা মিথ্যা কসম খেয়ে পন্য বিক্রী করা। ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা। আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করা |
(২৭) কারো প্রতি জুলুম-অত্যাচার করা বা জুলুমে সহায়তা করা। |
(২৮) অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করা। ঘুষ দেয়া বা নেয়া |
(২৯) হারাম খাদ্য গ্রহন করা। |
(৩০) আত্মহত্যা করা। |
(৩১) চাঁদাবাজি বা অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক কিছু আদায় করা। |
(৩২) বিচারক কর্তৃক অন্যায়ভাবে বিচার করা। বিচারকার্যে সত্য ও ন্যায়ের পথে না থাকা। |
(৩৩) পুরুষের জন্য মহিলার আকৃতি গ্রহণ করা বা মহিলার পোষাক পরিধান করা এবং মহিলার জন্য পুরুষের আকৃতি গ্রহণ করা বা পুরুষের পোষাক পরিধান করা। |
(৩৪) শরীয়ত অনুযায়ী পর্দা মেনে না চলা। |
(৩৫) পরিবারবর্গের যে কোন অশ্লীল কাজকে প্রশয় দেয়া। |
(৩৬) তালাক প্রাপ্ত নারীকে হিলা করা। |
(৩৭) প্রস্রাবের ছিটা থেকে পবিত্র না হওয়া। |
(৩৮) রিয়া বা লোক দেখানো এবাদত করা। |
(৩৯) আমানতের খিয়ানত করা। |
(৪০) দান/উপকার করে খোটা দান করা। |
(৪১) তকদীর অবিশ্বাস করা বা অস্বীকার করা। |
(৪২) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া |
(৪৩)মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শ্রবন করা। |
(৪৪) চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো) |
(৪৫) কোন মুমিনকে অভিসম্পাত করা। |
(৪৬) ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করা। |
(৪৭) গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া বা তা বিশ্বাস করা। |
(৪৮) অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা |
(৪৯) রাসূল (সা:) এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা |
(৫০) মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা। |
(৫১) মানুষ বা যে কোন প্রানীর ছবি আঁকা। |
(৫২) স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের অধিকার খর্ব করা। স্বামীর শরীয়ত সম্মত আদেশে স্ত্রীর অবাধ্য হওয়া। |
(৫৩) মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা। |
(৫৪) মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা। |
(৫৫) ঘরের দেয়ালে অথবা কাপড়ে বা ক্যালেন্ডারে জীব-জন্তুর ছবি রাখা। |
(৫৬) মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। |
(৫৭) কোন মুসলিমকে গালি দেয়া, কষ্ট দেয়া অথবা তার সাথে ঝগড়া বা লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়া। |
(৫৮) দাস-দাসী, দুর্বল শ্রেনীর মানুষ এবং জীবজন্তুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরন করা। |
(৫৯) অহংকারবশত টাখনুর নীচে পোষাক পরিধান করা। |
(৬০) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা। |
(৬১) মাপে বা ওজনে কম দেয়া। |
(৬২) কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা। |
(৬৩) ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা |
(৬৪) গীবত তথা কারো অসাক্ষাতে তাঁর দোষ চর্চা করা। |
(৬৫) পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা। |
(৬৬) মনিবের কাছ থেকে গোলামের পলায়ন। |
(৬৭) জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা। |
(৬৮) পিতা ব্যতীত অন্য কাউকে পিতৃরূপে স্বীকৃতি দেয়া। |
(৬৯) তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে সত্যের বিরোধীতা করা। |
(৭০) পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া। |
(৭১) সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা ভ্রু চিকন করা। পরচুলা ব্যবহার করা। সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে দাঁত চিকন করা। |
(৭২) চুল বা দাড়িতে মেহেদী ব্যাতীত কালো বা অন্য কোন রঙ লাগানো। |
(৭৩) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো। |
(৭৪) আল্লাহর আযাব-গযব সম্পর্কে উদাসীন থাকা। |
(৭৫) আল্লহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া। |
(৭৬) বিনা ওযরে জুম্মা ও জামায়াত ত্যাগ করা। |
(৭৭) কোন প্রকার ক্ষতিকর অসিয়ত করা। |
(৭৮) ধোকাবাজি বা প্রতারনা করা। বিশ্বাস ঘাতকতা করা। |
(৭৯) কোন মুসলমানের গোপনীয় বিষয় অন্যের কাছে প্রকাশ করা। |
(৮০) সাহাবী (রাঃ)-দের কাউকে গালি দেয়া। |
(৮১) কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা। কবরে বা মাজারে সিজদা করা। |
(৮২) মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা। |
(৮৩) স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা। |
(৮৪) ঋতুকালীন স্ত্রী সহবাস করা। |
(৮৪) অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা। |
(৮৫) নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা। |
(৮৬) ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা। |
(৮৭) মহিলাদের সুগন্ধি লাগিয়ে বাহিরে বের হওয়া। |
(৮৮) মুহরিম ছাড়া মহিলাদের সফর। |
(৮৯) বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া। |
(৯০) শ্রমিকের পাওনা বা মজুরী পরিশোধ না করা। মজুরী কম দেয়া। |
(৯১) বিনা প্রয়োজনে ভিক্ষাবৃত্তি করা। |
(৯২) ঋণ পরিশোধ না করা। |
(৯৩)গান-বাজনা শ্রবন করা। |
(৯৪) স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে বা অন্যের কাছে প্রকাশ করা। |
(৯৫) অনুমতী ব্যতীত অন্যের ঘরে প্রবেশ করা। |
(৯৬) মহিলাদের পাতলা কাপড় পরিধান করা। |
(৯৭) স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা। |
(৯৮) স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা। |
(৯৯) আল্লাহর উপর ভরসা না করে তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদির উপর ভরসা করা। |
(১০০) দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা। কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা। |
(১০১) সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা। |
১০১ টি কবীরা গুনাহ
ধর্ম ও জীবন