শীতকালীন সবজি হলেও বাংলাদেশ এ এখন সারা বছরই গাজর পাওয়া যায়। গাজর দেখতে যেমন সুন্দর ও আকর্ষণীয় তেমনি খেতেও সুস্বাদু এবং পুষ্টিতেও ভরপুর। গাজর খেলে আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গাজরের পুষ্টিগুণঃ
* গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা ভিটামিন এ’র কাজ করে। বিটা-ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি চোখের রেটিনা ও চোখ গহব্বর সুস্থ রাখে।
* গাজরে রয়েছে ভিটামিন-ই, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী। গাজরে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন আমাদের ত্বককে সূর্যের অতি বেগুণি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা করে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
* বয়সের ছাপ কমাতে গাজরের রস সাহায্য করে। গাজরের বিটা-ক্যারোটিন যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কোষের ক্ষয় রোধে সহায়ক। ফলে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়াকে রোধ করে।
* ভিটামিন সি থাকায় গাজর দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সুস্থতা বজায় রাখে। মাড়ি ফোলা ও দাঁত থেকে রক্তপরা সমস্যা সমাধানে গাজর বেশ উপকারি।
* কিডনি রোগ ও এলার্জি সমস্যাদূর করতে গাজর বেশ কার্যকর। গাজরের বিদ্যমান পুষ্টি থায়রয়েডের হরমোন সংশ্লেষণে বাধা দেয়।
* গাজরে পটাসিয়াম আঁচে, যা কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের রস লিভারের চর্বি ও পিত্ত কমাতে সাহায্য করে।
* গাজর কাঁচা খেলে শরীরের জলীয় অংশের চাহিদা পূরণ হয় ও ক্ষুধানিবারণ হয়। এছাড়াও প্রচুর কর্মশক্তি পাওয়া যায়।
* প্রতিদিন গাজর খেলে মানদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
* গাজর মানব দেহে এসিড ও ক্ষারের সমতা রক্ষা করে।
* গাজর স্নায়ু তন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করেও স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
* এছাড়াও গাজরের রস ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে সুরক্ষা করে।
গাজরের পুষ্টিগুণ ও অন্যান্য উপকারিতা
স্বাস্থ্য কথা