বৃষ্টি সম্পর্কে ২০টি চমকপ্রদ তথ্য

 সন্দেশ

বৃষ্টি মানেই বাঙালির কাছে এক অন্য ব্যাপার। তীব্র গরমে কাহিল রাজ্যের মানুষ চাতক পাখীর মতোই অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু, বৃষ্টি সম্পর্কে বহু চমকপ্রদ তথ্যই হয়তো অজানা।

১. মরুভূমিতে নয় সবচেয়ে কম বৃষ্টি কম হয় অ্যান্টার্কটিকায়।

২. বৃষ্টি হলেও রাস্তাঘাট-মাঠে জলের ফোঁটা নাও থাকতে পারে। কারণ, গরম স্থানে যদি দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হয় তা হলে বৃষ্টি মাটিতে পড়ার আগেই বাষ্পায়িত হয়।

৩. বৃষ্টির ফোঁটা মানে তা জল— এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। কারণ, শুক্র, চাঁদ সহ এমন কিছু গ্রহ ও উপগ্রহ আছে যেখানে সালফিউরিক অ্যাসিড বা মিথেন থেকে বৃষ্টি হয়। এমনকী, ৫০০০ আলোক বর্ষ দূরে এমন একটা গ্রহ আছে যেখানে আয়রন থেকে বৃষ্টি হয়।

৪. মেঘের আকার ও রঙ দেখে বলে দেওয়া যায় বৃষ্টি হবে কি না।

৫. বৃষ্টির ফোঁটার আকার দেখে যাঁরা একে কান্নার জলের ফোঁটা বলে ঠাহর করেন, তাঁরা ভুল, কারণ, বৃষ্টির ফোঁটার গড় আয়তনই ০.১ থেকে ৯ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

৬. আকাশ থেকে মাছ বৃষ্টি— বোরায় মে ও জুলাই মাসে কম করেও একশ জ্যান্ত মাছ আকাশ থেকে পড়ে। এরপর সেখানে এই নিয়ে মেলাও বসে।

৭. বৃষ্টি পড়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২২ কিলোমিটার হতে পারে।

৮. বৃষ্টির রঙও আছে। কোথাও লাল বৃষ্টি হয়, কোথাও সবুজ বৃষ্টিও হয়।

৯. বৃষ্টির ফোঁটা নাচ করে— জমা জলের উপর বৃষ্টির ফোঁটা যখন পড়ে তখন সেখানে একটা বৃত্তাকার তরঙ্গ হয়।

১০. বৃষ্টি গাছপালার সবুজকে আরও উজ্জ্বল করে।

১১. বৃষ্টি পড়লে মাটি থেকে একটা গন্ধ বের হয়। এই রাজ্যে এটা সোঁদা গন্ধ নামে পরিচিত। এই গন্ধ আসে মাটিতে থাকা ব্যাকটিরিয়া থেকে।

১২.হাওয়াই-এর কাউআই-এ এক নাগাড়ে বৃষ্টি হতেই থাকে। এখানে বছরে ৩৫০দিনই টানা বৃষ্টি হয়।

১৩. খরাপ্রবণ এলাকায় কত্রিম বৃষ্টি তৈরি করা হয়।

১৪. বৃষ্টির জন্য বোৎসওয়ানার মুদ্রা প্রভাবিত। বৃষ্টিকে সেখানে ‘পুলা’ বলে ডাকা হয়। আর এই পুলার নামেই বোৎসওয়ানার মুদ্রা পরিচিত পেয়েছে।

১৫. বিশ্বের কোথাও কোথাও এখনও অ্যাসিড বৃষ্টি হয়।

১৬. বৃষ্টি হলে পতুর্গালে কেউ অফিস-কাছারি যান না।

১৭. উগান্ডার লোকেরা বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি দেখে ভয় পান না। কারণ, সেখানে ২৫০ বার এমন বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়।

১৮. কিউবাতে শুধু দুপুরে বৃষ্টি হয়। আর, থাইল্যান্ডে শুধু বৃষ্টি হয় রাতে।

১৯. বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলেও একফোঁটা জল গায়ে লাগবে না। কেন? কারণ, মরুভূমিতে বৃষ্টি হলে বোঝার উপায় থাকে না। সেখানে এত গরম থাকে, যে বৃষ্টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাঝ আকাশেই তা বাশ্পে পরিণত হয়।

২০. গত একশো বছর ধরে আমেরিকার ওহায়োর ওয়াইনবার্গে ২৯ জুলাই আচমকা বৃষ্টি হয়।