দোকানে সাজানো তরতাজা বাহারি সব ফলের দিকে তাকালেই মনে হয় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু মনের ভেতর থাকা ফরমালিন আতঙ্ক মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে। কেউ কেউ সে ভয়কে উপেক্ষা করেন বটে, তবে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়াকে নিশ্চিত করেন। দেশীয় নানা ফলের রসে মন ডুবাতে উন্মুখ হয়ে থাকে মন। সুস্বাদু সেসব ফলের সঙ্গে আসে ফরমালিনের ত্রাশ। কিছু সচেতনতা থাকলে এসব ফল খাওয়া যাবে নির্ভয়ে -
- বাজার থেকে আম বা লিচু যে ফলই আনুন না কেন, খাওয়ার আগে ধৈর্য্য ধরুন এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশি সময়। এই সময় জুড়ে ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ফরমালিনের মাত্রা কমবে ৬১শতাংশ। মনে রাখতে হবে লিচুর রঙ টকটকে লাল বা মেজেন্টা করতে গাছেই রাসায়নিক স্প্রে করা হয়। তাই গাঢ় রঙের এসব মনোমুগ্ধকর লিচু না কেনায় ভালো।
- লবণাক্ত পানিতে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা প্রায় ৯০শতাংশ কমে যায়।
- এক লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম ভিনেগার মিশিয়ে যেকোনো ফল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
- খাওয়ার আগে ১০ মিনিট হালকা গরম লবণ মিশ্রিত পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখলে প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়।
ফলকে ফরমালিনমুক্ত করার সঠিক উপায়
জীবনধারা