হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চমৎকার কিছু পরামর্শ

 স্বাস্থ্য কথা

দেবি শেঠি ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক। ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত শেঠির 'নারায়ণা হৃদয়ালয়' হাসপাতালটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাসপাতাল। চলুন জেনে নেই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে ডাঃ দেবি শেঠির চমৎকার কিছু পরামর্শ।

১। খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শর্করা এবং চর্বিজাত খাবার কম খেতে হবে। আমিষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

২। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। লিফটে চড়া এড়াতে হবে। একটানা বেশি সময় বসে থাকা যাবে না।

৩। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে; ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৪। রক্তচাপ এবং সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৫। জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। জীবনে সব কিছু নিখুঁত হবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।

৬। জগিং করার চেয়ে হাঁটা ভালো। জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।

৭। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে ওষুধ ছাড়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৮। হৃদযন্ত্রের জন্য ফল এবং সবজি সবচেয়ে ভাল খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার সবচেয়ে খারাপ, কারণ যেকোনো তেলই খারাপ।

৯। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।

১০। একটানা দীর্ঘ সময় বসে থাকা, ধূমপান এবং জাঙ্ক ফুড যুবকদের মধ্যে হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যার আধিক্যের কারণ। তাছাড়া ব্যায়াম না করাও একটি প্রধান কারণ।

১১। নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে করলে সন্তানের হৃদরোগ হতে পারে- এটা জন্মগত অস্বাভাবিকতার দিকে ঠেলে দেয়।

প্রশ্ন: হার্ট অ্যাটাক হলে কেউ কি নিজে নিজে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারে?
দেবি শেঠি: অবশ্যই। তাকে প্রথমেই শুতে হবে এবং একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট জিহবার নিচে রাখতে হবে। এরপর দ্রুত আশপাশের কাউকে বলতে হবে যেন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি মনে করি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করা ঠিক নয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুলেন্স যথাসময়ে হাজির হয় না।
প্রশ্ন: হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার উপায় কি?
দেবি শেঠি: স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড ও ধূমপান পরিহার করতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। আর বয়স ত্রিশ পার হলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। অন্তত প্রতি ছয় মাসে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেই হবে।