পরিচ্ছন্নতা একটি ব্যক্তিগত রুচির পরিচায়ক। কেবল সুন্দর পোশাকেই ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে না, বরং সুন্দর আচরণও ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। অনেকেই আছেন যারা অফিস, রেস্তোরাঁ বা কোন পাবলিক প্লেসের টয়লেট অন্যের ব্যবহারের অযোগ্য রেখে বেরিয়ে পড়েন। ভুলে যান যে এই ব্যাপারটি অত্যন্ত অরুচিকর।
১) অবশ্যই কমোড ভালো করে ফ্ল্যাশ করুন। প্রয়োজনে ২/৩ বার ফ্ল্যাশ করুন। অবশ্য ঢাকনা বন্ধ করে ফ্ল্যাশ করুন।
২) টয়লেট পেপার ব্যবহার করতে শিখুন। ব্যবহারের পর নোংরা টয়লেট পেপার কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করে দিন বা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলে দিন।
৩) স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ডায়াপার কমোডে ফ্ল্যাশ করতে যাবেন না। টয়লেট পেপার দিয়ে মুড়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিন।
৪) সমস্ত টয়লেট পেপার একবারে শেষ করে ফেলবেন না। পরবর্তী সময়ে যিনি আসবেন, তাঁর কথা ভেবে খানিকটা রেখে দিন।
৫) অকারণে পানি ফেলে ওয়াশরুম ভরে ফেলবেন না। চেষ্টা করবেন মেঝেতে যতটা সম্ভব পানি কম ফেলতে।
৬) কমোড ছাড়া অন্য কোন স্থানে মলমুত্র ত্যাগ করাবেন না। অনেকেই শিশুদের কমোডে না বসিয়ে মেঝেতে মলমুত্র ত্যাগ করায় যা একটি জঘন্য আচরণ।
৭) আপনার জুতোর নোংরা দাগ মেঝেতে পড়লে সেটা পানি ঢেলে পরিষ্কার করে দিন।
৮) বেসিনের কল খোলা রাখবেন না।
৯) মেঝেতে চুল, টিস্যু ইত্যাদি আবর্জনা ফেলবেন না।
১০) বেসিনে থুতু, কফ ইত্যাদি ফেললে অবশ্যই পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।
১১) টয়লেট সিটে বসার পূর্বে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন, আপনার নিজের হাইজিনের খাতিরে।
১২) প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওয়াশরুমে বসে থাকবেন না। সেখানে বসে ফোনে কথা বলা, জোরে জোরে গান গাওয়া হতে বিরত থাকুন।
১৩) হাত মোছার তোয়ালে দিয়ে অন্য কোন অঙ্গ মুছবেন না এবং হাত মোছা হলে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন।
১৪) অনেক স্থানে ওয়াশরুমে এয়ার ফ্রেশনার রাখা থাকে। সেক্ষেত্রে বের হওয়ার পূর্বে স্প্রে করে দিন।
১৫) ওয়াশরুমের দেয়ালে কিছু লেখার চেষ্টা করবেন না।
বাথরুম বা টয়লেট ব্যবহারের ১৫টি ভদ্রতা
জীবনধারা